এরকম ভুল করা কি ঠিক !!!
সম্প্রতি ঢাকাই সিনেমার নায়িকা শামসুন্নাহার স্মৃতি পরীমনির একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলব্ধি হয়েছে। তিনি মনে করছেন, শিশু ও পোষ্য উভয়ই কোমলমতি প্রাণী, তাই শিশুদের কাছ থেকে পোষ্যদের দূরে ঠেলে দেওয়া উচিত নয়।
এই উপলব্ধির পেছনের ঘটনা তিনি ফেইসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে শেয়ার করেছেন। ভিডিওর দীর্ঘ ক্যাপশনে জানা গেছে, পরীমনির বাড়িতে একটি পোষ্য রয়েছে, যার নাম পুটু। গত ১০ বছর ধরে পুটুকে তিনি লালনপালন করছেন। তবে ছেলে পদ্মের জন্মের পর পুটুর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়েছে, যার দায় তিনি নিজের ওপর চাপিয়েছেন।
তিনি লিখেছেন, “একটা ভুল করেছি আমি। আমার ছেলে হওয়ার আগে পুটু সবসময় আমার সঙ্গে থাকতো। পদ্ম আসার পর পুটুকে নিয়ে ঘুমাতে পারছিলাম না, ফলে ওর আলাদা বিছানা হয়ে যায়। প্রথম দিকে মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছিল, কিন্তু আস্তে আস্তে তা স্বাভাবিক হয়ে গেল। তখন থেকেই আমাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হলো।”
পদ্ম হওয়ার পর পরীমনির ভয় ছিল, যদি ছেলে কুকুর কামড়ে দেয়, তাই পোষ্যকে কাছে ঘেঁষতে দিতেন না।
তিনি জানিয়েছেন, “সম্প্রতি খেয়াল করলাম, ছেলে পুটুর কাছ থেকে দূরে চলে যায়। পুটুকে দেখলেই বলে, ‘এই পুটু, যাও যাও’। তখন বুঝতে পারলাম, এটা আমার ভুল। বাচ্চা যা দেখে তাই তো শিখে!” এখন পরীমনি চেষ্টা করছেন ছেলের এবং পুটুর মধ্যে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে। তিনি বলেন, “ছেলের সামনে পুটুকে খাওয়ানো, গোসল করানো, আদর করা, একসাথে খেলা—এতে ছেলেটির আচরণও স্বাভাবিক হচ্ছে।”
তবে এত চেষ্টার পরও পুটু ও পদ্মের সম্পর্ক পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি বলে তিনি মনে করেন। তিনি বলেন, “যখন ছেলে সব খেলনা ফেলে পুটুর সঙ্গে থাকতে চায়, তখন দেখি পুটুর ভয় এখনও কাটেনি। আমি চেষ্টা করছি, হয়তো সে ভয় কাটিয়ে উঠবে।”
সন্তানের কাছ থেকে পোষ্যদের দূরে ঠেলে না দেওয়ার আকুতি জানিয়ে পরীমনি বলেন, “আমার মতো ভুল যেন কেউ না করে। প্রাণী ও বাচ্চা দুটোই খুব কোমলমতি। আমি এই বিষয়টি বুঝতে দেরি করে ফেলেছি।”