সূচকের ভিত্তিতে করা দেশভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, এবারের গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স (জিএইচআই) স্কোর ১৯.৪, যা ১২৭টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশকে ৮৪তম স্থানে রেখেছে। গত বছর বাংলাদেশের স্কোর ছিল ১৯, এবং অবস্থান ছিল ৮১তম। শুক্রবার প্রকাশিত এই সূচকে বাংলাদেশের অবনমনের তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা দেশের জনসংখ্যার মধ্যে বিশেষ করে শিশুদের ক্ষুধার চিত্র এবং স্বাস্থ্যগত অবস্থার উপর আলোকপাত করেছে।
তবে, ২০১৬ সালের তুলনায় বাংলাদেশে ক্ষুধার মাত্রা কিছুটা কমেছে; সে বছর স্কোর ছিল ২৪.৭। ক্ষুধা সূচকে স্কোর যত কম, দেশটি ক্ষুধামুক্তির পথে তত অগ্রসর বলে ধরা হয়। ক্ষুধা সূচকের মাপকাঠিগুলো হলো: অপুষ্টির হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের উচ্চতার তুলনায় কম ওজনের হার, ৫ বছরের কম বয়সী শিশুদের কম উচ্চতার হার এবং শিশুমৃত্যুর হার। এই চারটি মাপকাঠির ওপর ভিত্তি করে গ্লোবাল হাঙ্গার ইনডেক্স তৈরি হয়।
শূন্য স্কোরকে সেরা এবং ১০০ স্কোরকে সবচেয়ে খারাপ হিসাবে গণ্য করা হয়। স্কোর যত বেশি হয়, ক্ষুধার পরিস্থিতি তত খারাপ এবং স্কোর কম হলে পরিস্থিতির উন্নতি বোঝায়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশের জনসংখ্যার ১১.৯ শতাংশ অপুষ্টির শিকার এবং ৫ বছরের কম বয়সী ২.৯ শতাংশ শিশু পঞ্চম জন্মদিনের আগেই মারা যায়। অপুষ্টির কারণে ২৩.৬ শতাংশ শিশুর বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হচ্ছে এবং ৫ বছরের কম বয়সী ১১ শতাংশ শিশুর শারীরিক বিকাশ কম হচ্ছে, অর্থাৎ তাদের ওজন বয়সের তুলনায় বাড়ছে না।
দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে শ্রীলঙ্কা ৫৬তম, নেপাল ৬৮তম, ভারত ১০৫তম এবং পাকিস্তান ১০৯তম স্থানে রয়েছে।