বান্দরবান, আলীকদম, লামা ও নাইক্ষ্যংছড়ির ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া এবং বিশেষ ছাড়ের ঘোষণা পর্যটন শিল্পের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। দীর্ঘদিন পর পর্যটকদের জন্য এই স্থানগুলো আবার উন্মুক্ত হওয়ায় স্থানীয় ব্যবসায়ীরা আশাবাদী যে, তাদের ক্ষতি কিছুটা পুনরুদ্ধার হবে।
জসিম উদ্দিন আরও বলেন, “আমাদের উদ্দেশ্য হল, পর্যটকদের অভিজ্ঞতা উন্নত করা এবং তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। আমরা আশা করছি, এই ডিসকাউন্টগুলোর ফলে আরও বেশি পর্যটক আসবে।” তিনি পর্যটকদের অভ্যর্থনা জানাতে এবং তাদের নিরাপত্তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের ওপর জোর দেন।
এদিকে, স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে যে, ভ্রমণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তারা বিশেষ নজরদারি এবং প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনী পর্যটন স্পটগুলোতে পর্যাপ্ত উপস্থিতি রাখবে, যাতে পর্যটকরা উদ্বেগ ছাড়াই ভ্রমণ করতে পারেন।
বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য, পাহাড়ি দৃশ্য এবং সংস্কৃতি পর্যটকদের জন্য বিশেষ আকর্ষণ। নীলগিরি, চিম্বুক, শৈল প্রপাত ও নীলাচলসহ অন্যান্য স্থানে যাওয়ার জন্য পর্যটকরা সস্তায় হোটেল এবং রিসোর্টের সুবিধা পাবেন।
এছাড়া, পর্যটন শিল্পের এই পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে স্থানীয় যুবকদের জন্য নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, যা অঞ্চলের অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
পর্যটকদের জন্য এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা তাদের সেবার মান উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিভিন্ন কার্যক্রম এবং অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে তারা পর্যটকদের আকৃষ্ট করার পরিকল্পনা করছে।
সর্বোপরি, এই পদক্ষেপগুলো পর্যটকদের জন্য নতুন অভিজ্ঞতা এবং আনন্দের দ্বার উন্মোচন করবে, যা শুধুমাত্র স্থানীয় অর্থনীতির জন্য নয়, বরং দেশের পর্যটন খাতের জন্যও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।