প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী নিতে পারবে না কোনো বিদ্যালয়।
ঢাকা ও দেশের সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ২০২৫ শিক্ষাবর্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি হবে কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত আসন খালি থাকা সাপেক্ষে শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে, এবং সকল সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে এই ভর্তি কার্যক্রমে বাধ্যতামূলকভাবে অংশ নিতে হবে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগ বৃহস্পতিবার নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে, যাতে ভর্তি প্রক্রিয়ার বিস্তারিত নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ২০২৫ সালের সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি কার্যক্রম কঠোরভাবে এই নীতিমালা অনুসরণ করতে হবে, অন্যথায় কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে। ২০২৪ শিক্ষাবর্ষে কেন্দ্রীয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে ভর্তি হয়েছিল, এবং নতুন নীতিমালা আগেরটির মতোই রয়েছে। ২০২৫ সালে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার জন্য শিশুর বয়স হতে হবে পাঁচ থেকে সাত বছরের মধ্যে, যেখানে সর্বনিম্ন জন্ম তারিখ ১ জানুয়ারি ২০২০ এবং সর্বোচ্চ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য বয়সের শর্ত শিথিল থাকবে। ভর্তির আবেদনপত্রের সাথে শিশুর জন্মসনদ জমা দিতে হবে, যা বাধ্যতামূলক। প্রথম থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রতি শাখায় ৫৫ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে, তবে আসন খালি থাকলে ভর্তি চালু থাকবে।
ঢাকা মহানগরের স্কুলগুলোর জন্য ১২ সদস্যের একটি কমিটি এবং জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে যথাক্রমে ১০ ও ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। কেন্দ্রীয়ভাবে ডিজিটাল লটারির সময় ও আবেদন ফি নির্ধারণ করবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থী সর্বোচ্চ পাঁচটি স্কুল পছন্দ করতে পারবেন। সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে আসন সংরক্ষণে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তানদের জন্য ৫%, ক্যাচমেন্ট এরিয়ার জন্য ৪০%, বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিশুদের জন্য ২%, এবং অন্যান্য শ্রেণির জন্য নির্দিষ্ট শতাংশ সংরক্ষিত থাকবে।
অপেক্ষমাণ তালিকা তৈরি করতে হবে এবং নির্বাচিত শিক্ষার্থী ভর্তি না হলে অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি করা হবে। বিদ্যালয়গুলো যদি অনলাইন ভর্তি কার্যক্রমে যুক্ত হতে না পারে, তবে অনুমতি নিয়ে নিজস্বভাবে ভর্তি সম্পন্ন করতে পারবে, তবে এতে মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধি থাকতে হবে।
ভর্তি ফি সম্পর্কে বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানানো হবে, যেখানে ফি ভাগাভাগির বিষয়ও উল্লেখ থাকবে: সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ৮৫%, ভর্তি কমিটি ১০%, এবং মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তর ৫% পাবে।